ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন বিষয়ক অনলাইন ওরিয়েন্টেশন

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন বিষয়ক অনলাইন ওরিয়েন্টেশন

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন বিষয়ক অনলাইন ওরিয়েন্টেশন’-এ আপনাদের স্বাগতম। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এম.পি. ২৯ মার্চ ২০২৩ তারিখে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে ‘বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন নির্দেশনা’-এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২ এর ভিত্তিতে প্রণীত শিখন শেখানো সামগ্রী ইতোমধ্যে শ্রেণিকক্ষে প্রবর্তন করা হয়েছে। অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন শেখানো পদ্ধতির পাশাপাশি মূল্যায়ন ব্যবস্থায়ও এসেছে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন।

ইতোমধ্যে শিক্ষাক্রম, শিখন শেখানো পদ্ধতি এবং মূল্যায়ন ব্যবস্থা সম্পর্কে দেশব্যাপী সকল শিক্ষককে সরাসরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষকের সুবিধার্থে মূল্যায়ন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা দিতে এই অনলাইন ওরিয়েন্টেশন তৈরি করা হয়েছে।

শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মূল ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষক সমাজ। শিক্ষাক্রম বিস্তরণের ধারাবাহিকতায় অফলাইন (মুখোমুখি) ও অনলাইনে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এই ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত কোর্সটি ২৬-৩০ মে ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের (বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি) সকল শিক্ষককে অনলাইনে এনসিটিবি’র ই-লার্নিং প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন বিষয়ক অনলাইন ওরিয়েন্টেশন’ বিষয়ক কোর্সটি সম্পন্ন করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন বিষয়ক অনলাইন ওরিয়েন্টেশন

কোর্সের বিবরণ:

  • ক্যাটাগরি: শিক্ষা
  • কোর্স লেভেল: সহজ
  • অংশগ্রহণকারী: ১২৮.২ হাজার
  • ভাষা: ইংরেজি
  • কোর্স এর ধরণ: ফ্রি কোর্স
  • যোগদানের সময়: উন্মুক্ত
  • মোট লেসন: ৭ টি
  • মোট সময়: ১৬ মি. ১০ সে.
  • সর্বশেষ আপডেট : ০২, জুলাই ২৩

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড

একটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যপুস্তকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও উন্নতিতে পাঠ্যপুস্তকের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। একজন শিক্ষার্থীর জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য পাঠ্যপুস্তক তার মনের চিন্তাধারাকে সুগঠিত করে এবং সেইসাথে তার মনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করে। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিকে ধারণ করে পাঠ্যপুস্তক। সমগ্র পৃথিবীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের সর্বাধিক পরিচিত মাধ্যম পাঠ্যপুস্তক। আজও তা যেমন আছে আগামী দিনেও তেমনি থাকবে। বাংলাদেশের শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যতম বৃহৎ জাতীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড । দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ও শিক্ষার প্রসারে এই প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অনন্য। ইংরেজ আমলে অবিভক্ত বাংলাদেশে যেরূপ টেকস্টবুক কমিটি ছিল অনুরূপভাবে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাঠ্যপুস্তক তৈরির উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে “পূর্ববঙ্গ স্কুল টেকস্টবুক কমিটি” গঠিত হয়। আটত্রিশ সদস্য বিশিষ্ট যে কমিটি গঠিত হয় পদাধিকার বলে জনশিক্ষা পরিচালক ছিলেন এর সভাপতি। এই কমিটির কাজ ছিল প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকের অনুমোদন প্রদান করা। পাঠ্যপুস্তক নির্বাচন ও অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে টেকস্টবুক কমিটি অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। এজন্য স্বায়ত্তশাসিত কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক যুগোপযোগী প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা সরকার গভীরভাবে উপলব্ধি করে। এ প্রেক্ষিতে ১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টেকস্টবুক আইন পাশ হয় এবং সে আইনের বিধি অনুযায়ী “স্কুল টেকস্টবুক বোর্ড” নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটির একজন সভাপতি যিনি উচ্চ পর্যায়ের একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং চারজন সদস্য যথাক্রমে-

(১) জনশিক্ষা পরিচালক

(২) পূর্ববঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের সভাপতি

(৩) একজন বেসরকারি ব্যক্তি এবং

(৪) একজন সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা, যিনি হবেন কমিটির সদস্য-সচিব।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সকল বিষয়ের পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত ও বিতরণ ছিল এই প্রতিষ্ঠানের কাজ। পরবর্তী সময়ে ১৯৫৬, ১৯৬১ এবং ১৯৬৩ সালে এই প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠিত হয়। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত স্কুল টেকস্টবুক বোর্ড কর্তৃক ১ম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির সকল পাঠ্যপুস্তক সংশোধন, পরিমার্জন ও পুনর্লিখন এবং সেই সাথে একটি নবজাত রাষ্ট্রের জনসাধারণের প্রয়োজনীয় জ্ঞাতব্য বিষয় আধুনিক ধ্যান-ধারণার আলোকে পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশ করা হয়। ১৯৭৮-৭৯ সালে টেক্সটবুক বোর্ড নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং ১৯৮৩ সালের মধ্যে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকের স্থলে মানসম্পন্ন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বিতরণের কাজ সম্পন্ন করে। ১৯৮৩ সালে “The National Curriculum & Textbook Board Ordinance 1983 (Ordinance no. LVII of 1983)” মাধ্যমে স্কুল টেকস্টবুক বোর্ড ও জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন কেন্দ্রকে একীভূতকরণের মাধ্যমে বর্তমান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন ২০১১ অনুযায়ী বোর্ডের কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও যুগপোযোগী করার জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মহান জাতীয় সংসদে “The National Curriculum & Textbook Board Ordinance 1983 (Ordinance no. LVII of 1983)” সংশোধন ও রহিতক্রমে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ২০১৮’ বিলটি পাশ হয়।

ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন বিষয়ক অনলাইন ওরিয়েন্টেশন

কোর্স শুরু করতে নিচের বাটন এ ক্লিক করুন –

শুরু করুণ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *